বরগুনায় হ্যান্ডমাইক নিয়ে প্রচারণায় জেলা প্রশাসক
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জনসাধারণকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসক নিজেই হ্যান্ডমাইক নিয়ে বাঁধের বাইরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার জন্য তাঁদের সতর্ক করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার পোটকাখালী আবাসন এলাকায় (আশ্রয়ণ প্রকল্প) তিনি এই সতর্কতামূলক প্রচারণা চালান।
জানা গেছে, এক দিকে চলছে করোনাকাল, তারই মধ্যে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বরগুনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে দুর্গত মানুষদের অবস্থানের জন্য অতিরিক্ত ১০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মোট ৬১০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৬ উপজেলায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে সকালে বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী আবাসনে গিয়ে জেলা প্রশাসক সেখানের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছেন। সংকেত আরও বাড়লে তাৎক্ষণিক তাঁদের নিকটতম আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয় এ সময়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোটকাখালী আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে আমাদের ঘরগুলো একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। একটু বৃষ্টিতে এখানে থাকার কোনো উপায় থাকে না, এর মধ্যে এখন আবার এত বড় ঘূর্ণিঝড় আসতেছে। কীভাবে বাঁচব সে চিন্তায় আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই আবাসন এলাকা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে আশ্রয়কেন্দ্র, সেখানে গিয়ে আমাদের ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হয়। এই আবাসনের বাসিন্দাদের জন্য এখন পর্যন্ত একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা পেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকতে ও মানসিক প্রস্তুতি রাখার জন্য বিভিন্ন আবাসনে গিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকাকালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে। ইতিমধ্যে সে লক্ষ্যে ১০০ আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। জেলায় ৬১০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ৪২টি মেডিকেল টিম এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলাজুড়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচার-প্রচারণা চলছে।