কুড়িগ্রাম সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করছেন এক নারী

মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে নিয়ে সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফ সদস্যদের অবস্থান। আজ মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ঢলুয়াবাড়ী সীমান্তে। ছবি: প্রথম আলো
মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে নিয়ে সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফ সদস্যদের অবস্থান। আজ মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ঢলুয়াবাড়ী সীমান্তে। ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ঢলুয়াবাড়ী সীমান্তে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টার পর আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিএসএফ ওই নারীকে বাংলাদেশি বলে দাবি করে। বিজিবি বলছে, খোঁজ নিয়ে বিএসএফের দাবির সত্যতা পাওয়া গেলে ওই নারীকে ফেরত দেওয়া হবে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে ভারতের আসাম প্রদেশের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার কেদার সীমান্ত ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে মারধর করে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯–এর সাব পিলার ৩–এর ৪৮ নম্বর গেট দিয়ে বাংলাদেশের ঠেলে দেয়। এ সময় ঢলুয়াবাড়ী সীমান্তের কাছে জমিতে কাজ করছিলেন একদল কৃষক। তাঁরা কেদার সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যদের খবর দেন। এ সময় ওই নারী কাঁটাতারের বাইরে ভারতের ১০০ গজ অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকে। বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

এ ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯–এর সাব পিলার ৩–এর শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ কেদার ক্যাম্পের সহকারী কমিশনার ধর্মেন্দ্র রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে ২২ বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আবদুস সবুর। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ওই নারীকে বাংলাদেশি দাবি করেন। বিজিবি উত্তরে জানিয়েছে, বিএসএফের তথ্য সঠিক হলে যাচাই-বাছাই করে ফিরিয়ে আনবে। বর্তমান ওই নারী নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করছেন।

২২ বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আবদুস সবুর জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী বাংলাদেশি। তথ্য যাচাই করে উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাঁকে নিয়ে আসা হবে।

কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জামাল হোসেন বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই নারীর বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। এক মাস আগে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া মিঠাপুকুর থানায় জানান হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের পেলে তাঁকে এনে পুলিশের মাধ্যমে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বর্তমান তিনি বিএসএফের কাছে আছেন।