ইউনিভার্সেল মেডিকেলের ১৫০ শয্যার করোনা হাসপাতালে হামলা

করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত
করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। দেড় শ শয্যার কোভিড হাসপাতালের প্রবেশপথের স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে সাইনবোর্ড। মঙ্গবার সকাল ১০টায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে একদল দুর্বৃত্ত। হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত লোকজনকে আইনের আওতায় আনা হবে।

জিডিতে চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশ ভয়াবহ মহামারির সম্মুখীন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি হাজী শাহাবুদ্দিন কমপ্লেক্সের নিজস্ব নার্সিং কলেজ ভবনে ১৫ দিনের মধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু করা হয়। একই সঙ্গে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিউ) চালু করাসহ দেড় শ শয্যার করোনাভাইরাস হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়। হাসপাতাল তৈরির পর আশপাশের কিছু লোক বিশেষ করে ওই ভবনের তিনটি ফ্লোরে এম ইউ ফ্যাশন ও ক্রিস্টাল অ্যাপারেলস নামের দুটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিক এর বিরোধিতা করে আসছেন। প্রথমে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাবিধ হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অল্প সময়ের ব্যবধানে দেড় শ শয্যার হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়। তবে ওই ভবনের দুটি গার্মেন্টস কারখানার মালিক হাসপাতাল তৈরির বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতা চালান। এরপর গত ২০ এপ্রিল তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আর গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় দেড় শতাধিক লোক হাসপাতালের সামনে এসে রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেন। গার্মেন্টস দুটির মালিকের অনুগত লোকজন হাসপাতালের প্রবেশপথের স্থাপনায় হামলা করেন। ছিঁড়ে ফেলেন সাইনবোর্ড।

চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল তৈরি করার পর দুটি গার্মেন্টস মালিকের লোকজন হামলা করেছেন। আর এখন বলছে, হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ না হলে দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে হামলা চালাবে।