সোনিয়ার বিপদে ফের এগিয়ে এলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা

সোনিয়া খাতুন
সোনিয়া খাতুন

দুর্ঘটনায় এক পা হারানো মেয়েটি আরেক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেত। তখন সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ছয় বছর আগে তাঁর এই কষ্টের কথা প্রথম আলোয় পড়ে মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মীর শহীদুল ইসলাম। তখন তিনি রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ছিলেন। তাঁর দেওয়া এক লাখ টাকায় মেয়েটি এখন উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। সে সময় মেয়েটিকে কৃত্রিম পা দিয়েছিল ল্যাবএইড গ্রুপ।

করোনা সংকটের মধ্যে মেয়েটি একটি চাকরির আশায় রাজশাহী শহরে এসে বিপদে পড়েছে। ১৮ মে প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘তার পথেও করোনার কাঁটা’ শিরোনামের প্রতিবেদন দেখে মীর শহীদুল ইসলাম সেদিনই মেয়েটির খবর নেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান হিসেবে (অতিরিক্ত আইজিপি) কর্মরত আছেন। এরপর এই কর্মকর্তা সোনিয়ার জন্য ঈদের উপহার হিসেবে ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ তাঁর নিজ কাযালয়ে সোনিয়ার হাতে এই উপহার তুলে দেন। তিনি করোনা পরিস্থিতির পরে তাঁর চাকরির বিষয়টি দেখারও আশ্বাস দেন। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার বসুন্ধরা গ্রুপ মেয়েটির কৃত্রিম পায়ের জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছে।

সোনিয়া খাতুনের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার পূর্ব ধোপাপাড়া গ্রামে। দুই বছর বয়সে ট্রেনে কাটা পড়েও বেঁচে যায় সোনিয়া। তবে ডান পায়ের ঊরু থেকে কেটে পড়ে যায়। সে এখন উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়ে। এই ফাঁকে একটি চাকরির আশায় তিন মাস আগে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিল রাজশাহী শহরে। থাকা-খাওয়ার খরচের জন্য তার মা একটি হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন। চাকরিতে যোগদানের ঠিক পাঁচ দিন আগে করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।