ঈদের আগে আলোয় ভরল ঘর

সৈয়দপুরে খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য দেন। ২৩ মে, নীলফামারী। ছবি: প্রথম আলো
সৈয়দপুরে খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য দেন। ২৩ মে, নীলফামারী। ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের মানুষ বেজায় খুশি। ঈদের আগেই আলোয় ভরে উঠল তাঁদের ঘর। আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুইচ টিপে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ঘরে জ্বলে ওঠে আলো।

 আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ ও গুচ্ছগ্রামে রয়েছে ১০২টি পরিবার।

 সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ীতে খাসজমিতে গড়ে তোলা হয় আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প। সেখানে নদীভাঙন, গৃহহীন, অসহায় ১০২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয় ২০১৮ সালে। এত দিন এসব বাড়িতে ছিল না বিদ্যুৎ–সংযোগ। তাই আধুনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল তারা।

 বিদ্যুৎবিহীন ওই সব বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ জানান, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–কে বিদ্যুৎ দেওয়ার অনুরোধ করলে তাঁরা কাজটি করে দেন। তাই ঈদের আগেই আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা বিদ্যুতের আলো পেয়েছে।

 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা বিদ্যুতের আলো পাচ্ছে, এটা অনেক বড় কথা। আর কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া চেয়ে এসব পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া করার ওপর জোর দেন।

সৈয়দপুর ইউএনওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর উপমহাব্যবস্থাপক আশরাফুল হক, বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আল-হেলাল চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার। পরে বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।