আম্পানে কলাপাড়ায় তিনটি বিদ্যালয়ে বেশি ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের চাল উড়ে গেছে। পূর্ব সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন, কলাপাড়া, পটুয়াখালী। ছবি: প্রথম আলো
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের চাল উড়ে গেছে। পূর্ব সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন, কলাপাড়া, পটুয়াখালী। ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের চাল, কাঠের পাটাতন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। চালের ওপর দুটি সোলার প্যানেল ছিল, সেটাও ঝড়ো বাতাসে নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্নারে বইপত্র ভিজে গেছে, আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।

বিস্তীর্ণ বিল এলাকার মধ্যে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। পাশে রয়েছে সাউদের ভারানী খাল। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ১৯৬৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা ১৯৯৬ সালে সংস্কার করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত ভবনেই হতো। আরেক পাশের কক্ষে ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্নার। পাশে অপর একটি ভবন রয়েছে। তাতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হয়।

পূর্ব সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘করোনাকালের কারণে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ভীষণ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেল। শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলে কীভাবে পাঠদান চলবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম হাসনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সৈয়দ গাজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর এ উপজেলায় ৫১টি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। পুরো ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় মেরামত করতে তিন লাখ, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় মেরামত করতে ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা লাগবে।’