জ্বর, কাশিতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, ছোট ভাইয়ের করোনা শনাক্ত

জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকালে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর ছোট ভাইয়ের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় তাঁকে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান এবং জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে কৃষ্ণপুরের ইউনিয়নের এক ব্যক্তি (৪০) সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। গত বুধবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউশনে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। ওই দিনই তাঁর বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে সেই রাতে তাঁর বড় ভাই (৫৫) সর্দি ও কাশি নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে আসেন। তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ছয়টার দিকে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। গতকাল তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সাভারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউশনে পাঠানো হয়েছে। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ওই দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্য ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, করোনা পজিটিভ আসায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাঁদের বাড়ি (দুই ভাই) বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ৬৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিদের মধ্যে ছয়জন জেলা সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজন এবং ৩৫ জন নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।