দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চাপ ছিল বেশি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে সকাল থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত তুলনামূলক রাজধানী ছেড়ে আসা মানুষের চাপ ছিল একটু বেশি। ছবি: প্রথম আলো
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে সকাল থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত তুলনামূলক রাজধানী ছেড়ে আসা মানুষের চাপ ছিল একটু বেশি। ছবি: প্রথম আলো

আজ শনিবারও ঈদ সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ আগের মতোই ছুটছিল। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে প্রতিটি ফেরিতে স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল। তবে সকাল থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত তুলনামূলক রাজধানী ছেড়ে আসা মানুষের চাপ ছিল একটু বেশি।

এর আগে করোনা সংক্রমণ রোধে এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে টানা দুই দিন রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল শুরু হলেও বারবার ফেরি ঘাট থেকে বাধা দেওয়ায় এবং ফেরি বন্ধ থাকায় অনেকে কর্মস্থলে অবস্থান করছেন। যে কারণে উল্লেখযোগ্য ভিড় ছিল না।

শনিবার দৌলতদিয়া ঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সারা দিনের মতো আজও প্রতিটি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ এই নৌপথে ৭টি রো রো (বড়), ৬টি ইউটিলিটি (ছোট) এবং একটি মাঝারি আকারের ফেরি চালু রাখে। একত্রে ছোট-বড় মিলে ১৪টি ফেরি চালু থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে আটকে থাকা গাড়ি দ্রুত নদী পাড়ি দিয়ে চলে যায়। বেলা ১১টার পর থেকে উভয় ঘাটে তেমন গাড়ি না থাকায় ফেরিসংখ্যা কমিয়ে ৯টি করা হয়। এর মধ্যে ৩টি বড় এবং বাকি ৬টি ছোট ফেরি রয়েছে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আগত যাত্রীদের নিতে অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালক এভাবে দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনালে অপেক্ষা করতে থাকে। ছবি: রাশেদুল হক
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আগত যাত্রীদের নিতে অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালক এভাবে দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনালে অপেক্ষা করতে থাকে। ছবি: রাশেদুল হক

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, কয়েক দিন দফায় দফায় ফেরি বন্ধ থাকায় অনেকে ফেরিঘাটে এসে বাধা পেয়ে ফিরে গেছে। বিশেষ করে গত বুধবার বিকেলের দিকে পাটুরিয়া থেকে মাঝারি আকারের একটি ফেরি লোকজন নিয়ে দৌলতদিয়ায় পৌঁছালেও স্থানীয় পুলিশের বাধায় ফেরিটি পাটুরিয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে এক দিন পর মধ্যরাত থেকে ফেরি পুরোদমে চালু হলেও ভয়ে কেউ ঘাটে আসছে না। যারা ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার খবর পেয়েছে, তারাই শুধু ঘাটে ভিড়ছে। এ ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি বা ভাড়া করা গাড়িতে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ঘাট–সংশ্লিষ্ট অনেকে জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার পর থেকে ফেরি চলাচল শুরু হলে বিভিন্ন উপায়ে পাটুরিয়ায় অপেক্ষমাণ কয়েক হাজার যাত্রী পার হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব আলী সরদার বলেন, আজ ভোরের দিকে গ্রামমুখী মানুষের চাপ দেখা যায়। যে কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪টি করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে মানুষ ও যানবাহনের চাপ কমে এলে ফেরিসংখ্যাও কমিয়ে আনা হয়।