আন্তর্জাতিক এসএমইর সঙ্গে দেশকে সম্পৃক্ত করার তাগিদ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশকে আন্তর্জাতিক এসএমইর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা এ জন্য একটি সুচিন্তিত ও পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, জাতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন খাতকে আন্তর্জাতিক এসএমইর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন করা যেতে পারে।

‘গবেষণা ও উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক এসএমই’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল লাইভ আলোচনায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এর আয়োজন করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিপিআর, বাংলাদেশ)। গতকাল শুক্রবার রাতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আলোচনা সভায় সিপিআর, বাংলাদেশের সিইও এ কামাল উদ্দিন বলেন, এসএমই খাতের গতিশীলতা আনতে হলে আন্তর্জাতিক গবেষণা ও উন্নয়ন পার্টনারশিপের মাধ্যমে উদ্ভাবনমূলক এসএমই তৈরি করতে হবে। এ জন্য ভার্চ্যুয়াল গবেষণা ও উন্নয়ন টিম গঠন করা প্রয়োজন। গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর জন্য এসএমইকে বহিরাগত ব্যবসায়িক সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন।

সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন গবেষণা, উদ্ভাবন এবং এসএমইর মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে প্রথমেই নজর দিতে হবে গবেষণার সংস্কৃতি তৈরিতে এবং এটি শুরু করার প্রধান ক্ষেত্র হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে এক একটি উদ্ভাবন কেন্দ্র, আস্থার প্রতীক ও সমস্যা সমাধানের কেন্দ্র। যেসব খাত দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে যেমন কৃষি, টেক্সটাইল, ওষুধ, চামড়া ইত্যাদি, তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে গতিশীল রাখার কাজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান, সিপিআর, বাংলাদেশের সিনিয়র পার্টনার মো. আবুল কালাম আজাদও আলোচনা করেন।