সাভার ও ধামরাইয়ে আরও ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত

ঢাকার সাভার ও ধামরাই উপজেলায় আরও ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ল্যাবরেটরি থেকে আজ শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়। নমুনা সংগ্রহ বাড়ানো হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন বিএলআরআই মহাপরিচালক (ডিজি) নাথুরাম সরকার।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা পরীক্ষার জন্য গত বৃহস্পতিবার ৫৬ ও গতকাল শুক্রবার ৫৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিএলআরআইয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৩৪ জনের প্রতিবেদন ‘পজিটিভ’ আসে। ধামরাই থেকে ওই দুদিনে ৩৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

সাভারে সন্দেহভাজন করোনারোগীদের নমুনা সংগ্রহের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অধর চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে দুটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই দুই বুথ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই পরিমাণ খুব কম বলে মনে করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা।

খোঁয়াজ আলী নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, প্রতিদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে বা উপসর্গ ছাড়া সন্দেহের বশে যাঁরা আসেন, সবার নমুনা সংগ্রহ করা হয় না। উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের নমুনা নিয়ে বাকিদের তথ্য রাখা হয়। ১৫ থেকে ২০ দিন পর উপসর্গহীন ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। তাঁদের অনেকেরই করোনা ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা শনাক্ত করার জন্য সরকারিভাবে যে কিট সরবরাহ করা হয়, তাঁর পরিমাণ কম। সাভারে যে পরিমাণ কিট সরবরাহ করা হয়েছিল তা প্রায় শেষ। তিনি মনে করেন, জনবল ও কিট স্বল্পতার কারণে সাভারে অনেক মানুষকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে বিএলআরআইয়ের ডিজি নাথুরাম সরকার বলেন, তাঁদের ল্যাবে করোনা শনাক্তকরণের কিট স্বল্পতা নেই। তাঁরা এ পর্যন্ত ৫ হাজার কিট পেয়েছেন। গত শুক্রবার পর্যন্ত তাঁরা ৩ হাজার ৬৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছেন। তিনি আরও বলেন, সাভারে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ লোকের বাস। তাই এখানে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এ কারণে সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় করতে হলে নমুনা সংগ্রহ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সাভারের উলাইল, হেমায়েতপুর, তেঁতুলঝোড়া ও আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে বেশি করে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে।