মির্জাগঞ্জে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কানিজ ফাতিমাকে (ডান থেকে দ্বিতীয়) ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন। ছবি: প্রথম আলো
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কানিজ ফাতিমাকে (ডান থেকে দ্বিতীয়) ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন। ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিক্ষক কানিজ ফাতিমা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ হওয়ায় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন।

৫ মে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মোবাইলে তাঁকে তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ বলে জানানো হয়। সে সময় তাঁকে নিয়ে অনেক নেতিবাচক লেখা ছড়িয়ে যায় ফেসবুকে। এতে খুব ভয় পেলেও পরিবারের সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসায় তিনি করোনাকে জয় করেছেন।
মাত্র ছয় মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়। দুই মাস আগে কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

কানিজ ফাতিমা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার প্রথম দিন থেকেই সতর্কতার সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পেরেছি, তাই বাড়ির অন্য কারও মধ্যে ছড়াইনি করোনা। বাড়ির অন্য সবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ এসেছে। মির্জাগঞ্জে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী হিসেবে এ জন্য বাড়তি চাপ নিতে হয়নি আমাকে।’

করোনায় আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে মনোবল শক্ত রেখে বারবার হালকা গরম পানি পান করা, গরম পানির গড়গড়া করা, নাকে ভাপ নেওয়া এবং চা পান করা, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকা, সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই তাঁর সুস্থ হওয়ার মূলমন্ত্র ছিল বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, মির্জাগঞ্জে কানিজ ফাতিমা প্রথম করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত এবং সুস্থ হওয়া ব্যক্তি। তবে তিনি কীভাবে সংক্রমিত হয়েছিলেন, তা জানা যায়নি। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মির্জাগঞ্জে ১৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। একজন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন অন্যজন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।