তথ্য সংগ্রহের পর এলাকায় গেছেন কোনো কোনো সাংসদ

এলাকায় নেই বেশির ভাগ সংসদ সদস্য’  শিরোনামে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় আজ শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এটি নিয়ে কারও কারও মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখিত সাংসদদের কেউ কেউ যোগাযোগ করে তাঁদের এলাকায় যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। আবার যাঁদের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি, তাঁরাও এলাকায় যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

প্রথম আলো গত ৮ থেকে ১২ মে স্থানীয় পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণার পর ওই সময় পর্যন্ত তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৫ জন সাংসদ একবারের জন্যও এলাকায় যাননি। তথ্য সংগ্রহের পর তা বিশ্লেষণ ও যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে সময় লেগেছে। যদিও তথ্য সংগ্রহের সময়টি প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর জানা গেছে, ১৬ মে এলাকায় যান পিরোজপুর-২ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। আর লালমনিরহাট-৩ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও এলাকায় গিয়েছেন ১৩ মে। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ করায় এ তথ্য প্রতিবেদনে আসেনি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩৯ জন সাংসদ এলাকায় থেকে কাজ করছেন। এ ছাড়া তথ্য সংগ্রহের সময়ে ৮২ জন সাংসদ এলাকায় আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। যাঁদের এলাকায় পাওয়া গেছে এবং আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন তাঁদের অধিকাংশের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি।

এলাকায় গিয়েছেন অথচ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি, এমন নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাংসদ হাছান মাহমুদ এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ নাসিম। তাঁরা শুরু থেকেই নিয়মিত এলাকায় যাতায়াত করছেন। রাঙ্গুনিয়ায় নিজ গ্রামে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ নিজের পারিবারিক সংস্থা থেকে ত্রাণ দিয়েছেন এবং করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুইবার বিভাগীয় সমন্বয় সভা করেছেন।