আম্পানে বরিশালে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ১৭ লাখ মানুষ

বরগুনার তালতলীতে জলোচ্ছ্বাসে একাকার মাছের ঘের। ছবি: প্রথম আলো
বরগুনার তালতলীতে জলোচ্ছ্বাসে একাকার মাছের ঘের। ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ লোক বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পটুয়াখালী জেলায় এবং সবচেয়ে কম ভোলা জেলায়।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। গত ২০ মে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে।
প্রাথমিক হিসাবে, ঝড়ের তাণ্ডবে বরিশাল বিভাগে প্রায় সাড়ে ৪৯ হাজার বাড়ি-ঘর পুরোপুরি ও আংশিক ক্ষতি হয়। ১৯ হাজারের বেশি ঘের-পুকুরের মাছ ভেসে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ১৭ হাজার ৪৫৫ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭০ জন মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে বিভাগের ১৪ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছিল। ৯ থেকে ১২ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বিভাগের ৭৬৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

বিভাগীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে বরিশাল জেলায় ৮ লাখ, পটুয়াখালীতে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৭০ জন, ঝালকাঠিতে ২ লাখ ২ হাজার, বরগুনায় ১ লাখ ২০ হাজার, পিরোজপুরে ১ লাখ ২৫ হাজার ও ভোলায় ১৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ঝড়ের কবলে পড়ে সরকারি হিসাবে ভোলায় দুজন, পটুয়াখালীতে দুজন, পিরোজপুরে একজনসহ বরিশাল বিভাগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এই মৃত্যুর সংখ্যা ৮।

জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে গ্রাম। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে একটি পরিবার। ফাইল ছবি
জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে গ্রাম। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে একটি পরিবার। ফাইল ছবি

বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জন্য খোলা নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সৈয়দ মাহবুবুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তাও শুরু হয়েছে।