আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ভাতিজার নামে মামলা

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে গত রোববার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর ভাতিজাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।

নিহত ব্যক্তির নাম নবীর হোসেন (৬০)। তাঁর ওই ভাতিজার নাম আবদুল আউয়াল (৩০)। তাঁদের বাড়ি কৈয়ারপাড় গ্রামে।

নবীর হোসেনের ছেলে মো. রাসেল বলেন, ‘বাবা কোনো ঝামেলায় ছিলেন না। তিনি নিরীহ মানুষ। তাঁর হত্যার বিচার চাই।’

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আহসানুল ইসলাম বলেন, আবদুল আউয়াল বখাটে হিসেবে পরিচিত। তিনি এলাকায় চুরি-ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। কয়েক মাস আগে তাঁকে একটি ঘটনায় পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। গত দুদিন আগে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান। আউয়ালের ধারণা, নবীর হোসেন তাঁকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। এর জের ধরে তিনি নবীরকে মারার পরিকল্পনা করেন। নবীর ভূঁইয়া পাড়া বাজারে মুদি দোকান করতেন। রোববার ইফতার শেষে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে ওত পেতে ছিলেন আউয়াল ও তাঁর দুই সহযোগী। কৈয়ারপাড় গ্রামের সড়কের পাশে করাতকলের সামনে পৌঁছালে নবীরের গলায় দা দিয়ে কোপ দেন আউয়াল। চিত্কার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আউয়াল সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যান। নবীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আউয়ালের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে রাতেই মামলা করেছেন নবীরের ছেলে রাসেল।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুল আউয়ালের মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসীন ভূঁইয়া বলেন, নবীর হোসেন আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী নেতা ছিলেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

জানতে চাইলে ওসি বলেন, যতটুকু প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, এটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। আসামি পরিবারসহ গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।