তিন মাস পর মাটি খুঁড়ে মিলল লাশ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় তিন মাস পর আজ মঙ্গলবার মাটি খুঁড়ে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ব্যক্তির স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করেছে। অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও পরিবার।

লাশটি কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের কমলেশ বাড়ৈর (৪৫)। তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। আজ বিকেল চারটার দিকে গ্রামের বিলের মধ্যে একটি মাছের ঘেরের পাড় থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

কমলেশের ভাই রবেন বাড়ৈ বলেন, কমলেশের স্ত্রীর (৪০) সঙ্গে প্রতিবেশী এক ঘের ব্যবসায়ীর অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি ও মনোমালিন্য হতো। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কয়েকবার সালিস-বৈঠকও হয়। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। কমলেশের স্ত্রী ও তাঁর কথিত প্রেমিক কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে কমলেশ নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নামে। গ্রামের বিভিন্ন জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। আজ প্রতিবেশী মন্মথ বাড়ৈর মাছের ঘেরের পাড়ে গ্রামের বিপুল বাড়ৈ নামের একজন ঘাস কাটতে গিয়ে মাটি খোঁড়া দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে কমলেশের লাশ উদ্ধার করে।

রবেন অভিযোগ করেন, কমলেশের স্ত্রী তাঁর প্রেমিকের সহযোগিতায় কমলেশকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

জানতে চাইলে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় কমলেশের স্ত্রীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।