ঘুরতে বেরিয়ে লাশ হলো স্কুলছাত্র

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

ঈদে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল তিন বন্ধু। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র তারা। তাদের মধ্যে মো. আশিক (১৭) মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। মাঝে বসে ছিল অপর বন্ধু মো. হামজা (১৬), পেছনে ছিল আরেক বন্ধু মেহেদী হাসান (১৭)। একটি অ্যাম্বুলেন্সকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলটির। এতে গুরুতর আহত হয় তিন বন্ধু। এর মধ্যে মো. হামজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

দুর্ঘটনাটিতে ঘটেছে আজ মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রাম মোড়ে বসুন্দিয়া-ধলগ্রাম সড়কে। মো. হামজা যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামের অলিয়ার রহমানের ছেলে। সে উপজেলার আল হেলাল ইসলামী একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আহত মো. আশিক অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামের মোশাররফ মোল্যার ছেলে এবং মেহেদী হাসান একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তারা উপজেলার আল হেলাল ইসলামী একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র। তারা যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মো. আশিক জানায়, ঈদ উপলক্ষে তারা তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে বসুন্দিয়া-ধলগ্রাম সড়ক দিয়ে তারা বাঘার পাড়া উপজেলার ধলগ্রাম মোড়ে পৌঁছায়। এ সময় একটি অ্যাম্বুলেন্সকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপর মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে তারা তিন বন্ধু আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার হওয়ায় তাদের রাতেই যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মো. হামজা মারা যায়।

কোতোয়ালি থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত স্কুলছাত্র মো. হামজা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।