মানিকগঞ্জে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বৃদ্ধা ও কিশোরের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জে সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তাঁরা মারা যান। এ নিয়ে জেলায় আইসোলেশনে ওয়ার্ডে সাতজনের মৃত্যু হলো। হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ আজ বুধবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া দুজনের একজন বৃদ্ধা (৬০)। তাঁর বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলায়। আর কিশোরের (১৬) বাড়ি ঘিওর উপজেলায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন ওই বৃদ্ধা। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পর দিন বিকেলে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান স্বজনেরা। তার শ্বাসকষ্ট ছিল। তাকে পর্যবেক্ষণের পর আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে সাভারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

আজ দুপুর পর্যন্ত ওই দুজনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ। তিনি বলেন, ফলাফল না পাওয়ায় তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক সংবাদকর্মীসহ আরও ছয়জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৮ জন।

সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নতুন আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে শিবালয় উপজেলার একজন সংবাদকর্মী, সদর উপজেলায় চারজন ও সিঙ্গাইরে একজন রয়েছেন।

জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৮ জন শনাক্ত হন। ১৪ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৮৪ জন নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। অন্যরা সুস্থ হয়েছেন।