ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট লকডাউন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট ও প্রশাসনিক ব্লকের দুটি কক্ষ আজ শুক্রবার লকডাউন ঘোষণা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি একজন চিকিৎসক ও ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের এক ডেন্টাল সার্জনের চিকিৎসক স্বামী (অন্যত্র কর্মরত) ও একজন অফিস সহায়কের করোনা পজিটিভ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার জেলায় একজন ডেন্টাল সার্জন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্যালয়ের একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের একজন অফিস সহায়কসহ ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে জেলায় ৮৩ জনের নমুনার ফল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের নমুনার ফল পজিটিভ আসে। করোনায় আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে জেলা শহরের ১৪ জন ও সদর উপজেলা, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলায় ১ জন করে রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জেলায় ১ জন চিকিৎসক ও হাসপাতালের অফিস সহায়কসহ ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত ওই ডেন্টাল সার্জনের স্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডেন্টাল সার্জন। এই নারী চিকিৎসক হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোগী দেখেছেন। আর ওই অফিস সহায়ক হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের কম্পিউটার কক্ষে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট ও প্রশাসনিক ব্লকের দুটি কক্ষকে আপাতত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

হাসপাতালের ডেন্টাল সার্জন ও দুই কক্ষে দায়িত্ব পালন করা ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনিক ব্লকের চারটি কক্ষের দায়িত্ব পালন করা নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্য কর্মচারীদের নমুনা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট ও প্রশাসনিক ব্লকের দুটি কক্ষ লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে। দন্ত চিকিৎসক ও ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নমুনা ফল না আসা পর্যন্ত কক্ষগুলো অবরুদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি ওই চিকিৎসকের স্ত্রী ও অফিস সহায়কের সংস্পর্শে আসা সবার নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। ফলাফল পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।