নরসিংদীতে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

নরসিংদীতে নতুন করে আরও ২৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ৫২ দিনের মাথায় জেলাজুড়ে কোভিড-১৯–এ আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াল। আজ শনিবার সকালে সিভিল সার্জন মো. ইব্রাহিম প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৮। মারা গেছেন ৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৪ জন।


গত ৭ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে পলাশের এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। এর ১১ দিন পর ১৮ এপ্রিল শনাক্তের সংখ্যা ১০০ হয়। এর ২০ দিন পর ৮ মে সংখ্যা দাঁড়ায় ২০০। ৯ দিন পর ১৭ মে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩০০ হয়। পরের ৯ দিনে, অর্থাৎ ২৬ মে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়ায়। পরবর্তী সময়ে চার দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ অতিক্রম করল।


সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানায়, গত সোমবার কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত সন্দেহে ৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরদিন পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে পাঠানো হয়। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় পাওয়া এসব নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে আরও ২৬ জনকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত করা হয়।


নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলার ১০ জন, বেলাব উপজেলার ২ জন, পলাশ উপজেলার ৭ জন, রায়পুরা উপজেলার ৪ জন ও মনোহরদী উপজেলার ৩ জন রয়েছেন। এর মধ্যে বেলাব উপজেলায় কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল মৃত্যুর পর।

জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ জরুরি সেলের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলা থেকে মোট ৩ হাজার ২১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৩০ জনের নমুনা। তাঁদের মধ্যে ৫১৮ জনকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। জেলাজুড়ে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫৭ জন, রায়পুরায় ৪১ জন, পলাশে ৩৪ জন, শিবপুরে ৩৬ জন, বেলাবতে ৩৭ জন ও মনোহরদীতে ১৩ জন রয়েছেন। আক্রান্ত ১৫ জন হাসপাতালে রয়েছেন। বাকিরা যাঁর যাঁর বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।


নরসিংদীর সিভিল সার্জন মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘জেলায় প্রথম এক মাসে ১৮২ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত পাওয়া গেলেও পরের ২২ দিনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ, ৩৩৬ জন হয়। এতে আমরা উদ্বেগের মধ্যে আছি। তবে প্রথম দিকের তুলনায় বর্তমানে নমুনা সংগ্রহের হারও বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতেও বাধ্য করা হচ্ছে।’