বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

খালেদা জিয়া দুই দফা ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপি মাজারে যায়, কিন্তু জিয়া হত্যার বিচার চায় না।

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া দুই দফায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আরও একবার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে এক মাসের বেশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এটি সত্যিই রহস্যজনক যে জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করলেন না। সে কারণে জনগণের মনেও এটি প্রশ্ন যে জিয়া হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে, এ জন্যই কি তিনি বিচার করেননি!

হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, ‘সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এখনো আশপাশের দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম। কিন্তু রুহুল কবির রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তাতে মনে হয়, তাঁরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।’

বিএনপিকে আশপাশের দেশসহ বিশ্বের দিকে তাকানোর অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানে করোনার সংক্রমণের হার আমাদের চেয়ে বেশি। ভারতে সংক্রমণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বেলজিয়ামে সংক্রমিতদের মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ, ব্রিটেনে ১৪, যুক্তরাষ্ট্রে ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তানে ২–এর বেশি আর আমাদের দেশে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তানের মতো বা তার চেয়ে বেশি হতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা মৃত্যুহার কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, মিথ্যাচার না করে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান, আর আমাদের দুয়ার খোলা আছে, প্রয়োজনে আমাদের সাথে আপনারা একযোগে জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করতে পারেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যাদের প্রয়োজন সেসব মানুষকে খুঁজে খুঁজে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ চায়নি, কিন্তু মোবাইলে আড়াই হাজার টাকা করে পৌঁছে গেছে। দাবি না থাকা সত্ত্বেও কওমী মাদ্রাসাগুলো সহায়তা পেয়েছে। ঈদের আগে সহায়তা পৌঁছেছে মসজিদগুলোতেও। সাংবাদিক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী সহায়তা দিচ্ছেন। আমি বিএনপিকে একটু চক্ষু মেলিয়া আশপাশের দেশে কোথাও এমন ত্রাণ ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে কি না, দেখতে অনুরোধ জানাই।’

এ সময় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।