পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি নারীর লাশ উদ্ধার: আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থানা এলাকার একটি লজে বাংলাদেশি এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাঁর নাম আবুল কাসেম ওরফে কাসেম মিয়া। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ওই নারীর নাম আসমা ইসলাম (৪০)। তিনি যশোর শহরের পুরোনো কসবা এলাকার বাসিন্দা। গত জানুয়ারিতে তিনি কলকাতায় বেড়াতে যান। পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থানা এলাকার শ্যামা প্রসাদ লজ নামে একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন। ওই হোটেলে পাশের একটি কক্ষে উঠেন আবুল কাসেম। পরদিন কাসেমের কক্ষ থেকেই আসমার লাশ উদ্ধার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে।

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় বনগাঁ পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। খবর পেয়ে আসমার পরিবারের স্বজনেরা ভারতে গিয়ে বনগাঁ থানা থেকে মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ করে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দেন আদালত।
গ্রেপ্তারের সময় কাসেমের পাসপোর্ট, ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন ও তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসমা ইসলামের মুঠোফোনটি ঢাকার মানিকনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আসমার সঙ্গে তাঁর স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়েছে। ওই স্বামীর ঘরে তাঁর তিন সন্তান রয়েছে। এদিকে কাসেমেরও একাধিক স্ত্রী রয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে আসমা কৌশলে কাসেমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই টাকা তাঁকে ফেরত দেননি। এদিকে আসমা আবার আগের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চান। এসব বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যে কারণে কাসেম আসমাকে হত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।