বাউফল পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়েছে বরিশাল বিভাগীয় পৌর মেয়র অ্যাসোসিয়েশন। আজ রোববার বিকেলে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে এ দাবি জানান মেয়ররা।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল জেলার বিভিন্ন পৌরসভার ১৪ জন মেয়র উপস্থিত ছিলেন। বরগুনার আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা ১৪ জন মেয়র বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে তাঁর একজন কর্মকর্তা এবং ডিআইজি সাহেবের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে দাবিসংবলিত স্মারকলিপি পৌঁছে দিয়েছি। মেয়র জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছি।’

ঈদের আগের দিন বাউফল পৌরসভার উদ্যোগে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনের সড়কে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনাসংবলিত ব্যানার স্থাপন করা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগকর্মী তাপস কুমার দাস নিহত হন। তাপসের বাড়ি বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে।

এ ঘটনায় ২৫ মে রাতে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হককে হুকুমের আসামি করে ৩৫ জনের নামে মামলা করেন তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ চন্দ্র দাস। এই মামলায় ২০ নম্বর আসামি করা হয় প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি মিজানুর রহমানকে।