মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন শিল্পপতি আবদুল মোনেম

আবদুল মোনেম
আবদুল মোনেম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের দক্ষিণ দিকে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন দেশের সুপরিচিত শিল্পগোষ্ঠী আবদুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) প্রতিষ্ঠাতা আবদুল মোনেম।

আজ রোববার মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার বিজেশ্বর গ্রামে নিজের প্রতিষ্ঠিত জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসার মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম, আবদুল মোনেমের দুই ছেলে এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম ও এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম, জামাতাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সকাল ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন এএমএলের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইগলু আইসক্রিম, ফুড অ্যান্ড ডেইরির গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম কামরুল হাসান।

জি এম কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে আবদুল মোনেমের মৃত্যু হয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় ১৭ মে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি কিডনির রোগেও ভুগছিলেন।

কামরুল হাসান আরও বলেন, আবদুল মোনেমের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আবদুল মোনেম লিমিডেটের নির্মাণ, খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ নানা খাতে ব্যবসা রয়েছে। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৬ সালে আবদুল মোনেম নিজের নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শুরু করেন। এএমএলে ১০ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেন।

আবদুল মোনেমের দুই ছেলে এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম ও এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক।