মাদারীপুরে চার পুলিশ সদস্যসহ সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত

মাদারীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ পুলিশ সদস্যসহ এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার চারটি উপজেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৯।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ২১৭ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ২৬ জনের রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ, বাকিগুলো নেগেটিভ। নতুন শনাক্ত ২৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১ জন সদর উপজেলায়। এর মধ্যে সদর থানা-পুলিশের একজন উপপরিদর্শক ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য রয়েছেন।

এ ছাড়া কালকিনি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ ৮ জন শনাক্ত হয়েছে, যা এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। শিবচরে দুই পুলিশ সদস্যসহ শনাক্ত হয়েছে ৫ জন ও রাজৈরে শনাক্ত হয়েছে ২ জন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান বলেন, পুলিশের আরও চার সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ১৪ জনকে আলাদা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮ জন পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হলো। তবে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের করোনা উপসর্গ নেই বললেই চলে। তবু তাঁদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে।

সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই উপসর্গহীন। তাঁদের হোম আইসোলেশন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলায় এখন পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীসহ সব শ্রেণি–পেশার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

গত ৩১ মে করোনা শনাক্ত হওয়া যুবককে এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি বায়িং হাউসে কাজ করতেন। নিজেকে সুস্থ দাবি করে যুবক আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।