কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্রও জাল

ঢাকার সাভারে একটি চক্র স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ‘কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত নয়’ এমন প্রত্যয়নপত্র বিক্রি করে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। অভিযান চালিয়ে পুলিশ চক্রটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার ব্যাংকটাউনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন তাঁরা।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাঈদ হোসেন (২৮) ও রাজু মিয়া (৪২)। সাঈদ একসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করতেন। 

পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাভারে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আগে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ না ‘নেগেটিভ’ তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করাতে গিয়ে শ্রমিকদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। এই সুবাদে একটি চক্র তাঁদের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে।

পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার সাঈদ হোসেন ও তাঁর সহযোগী রাজু মিয়াসহ কয়েকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটির সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আসা লোকজনকে ফুসলিয়ে উলাইলে সাঈদের ওষুধের দোকানে নিয়ে যেতেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদার স্বাক্ষর জাল করে ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ’ লেখা সংবলিত প্রত্যয়নপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবে প্রত্যয়নপত্র নেওয়া সবাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

সাভারের একটি পোশাক কারকানার শ্রমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি ও তাঁর সহকর্মী রবিউল ইসলাম নমুনা দেওয়ার জন্য ৩১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় সাঈদ তাঁদের কাছে স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে নমুনা নেওয়ার কথা বলে উলাইলে তাঁর ওষুধের দোকানে নিয়ে যান। পরের দিন ফোন করে দোকানে ডেকে নিয়ে দুটি প্রত্যয়নপত্র দেন। তাতে লেখা ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ’। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেন সাঈদ।

সাইফুল ও রবিউল ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়ে কর্মস্থলে জমা দেন। তখন কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তাঁদের বিষয়টি যাচাই করতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁরা ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় যাচাই–বাছাই করে দেখা যায়, প্রত্যয়নপত্র দুটি ভুয়া।

সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুর রহমান বলেন, ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী লিটন মিয়া মামলাটি করেছেন। মামলায় সাঈদ হোসেন ও রাজু মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, মামলার পরপরই সাঈদ ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, তাঁর হাসপাতালে সাঈদ একসময় আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করতেন। তিনিই ভুয়া প্রত্যয়নপত্র তৈরির মূল হোতা বলে মনে করছেন তাঁরা।

ঢাকার সাভারে একটি চক্র স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ‘কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত নয়’ এমন প্রত্যয়নপত্র বিক্রি করে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। অভিযান চালিয়ে পুলিশ চক্রটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার ব্যাংকটাউনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন তাঁরা।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাঈদ হোসেন (২৮) ও রাজু মিয়া (৪২)। সাঈদ একসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করতেন। 

পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাভারে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আগে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ না ‘নেগেটিভ’ তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করাতে গিয়ে শ্রমিকদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। এই সুবাদে একটি চক্র তাঁদের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে।

পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার সাঈদ হোসেন ও তাঁর সহযোগী রাজু মিয়াসহ কয়েকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটির সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আসা লোকজনকে ফুসলিয়ে উলাইলে সাঈদের ওষুধের দোকানে নিয়ে যেতেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদার স্বাক্ষর জাল করে ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ’ লেখা সংবলিত প্রত্যয়নপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবে প্রত্যয়নপত্র নেওয়া সবাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

সাভারের একটি পোশাক কারকানার শ্রমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি ও তাঁর সহকর্মী রবিউল ইসলাম নমুনা দেওয়ার জন্য ৩১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় সাঈদ তাঁদের কাছে স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে নমুনা নেওয়ার কথা বলে উলাইলে তাঁর ওষুধের দোকানে নিয়ে যান। পরের দিন ফোন করে দোকানে ডেকে নিয়ে দুটি প্রত্যয়নপত্র দেন। তাতে লেখা ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ’। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেন সাঈদ।

সাইফুল ও রবিউল ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়ে কর্মস্থলে জমা দেন। তখন কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তাঁদের বিষয়টি যাচাই করতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁরা ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় যাচাই–বাছাই করে দেখা যায়, প্রত্যয়নপত্র দুটি ভুয়া।

সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুর রহমান বলেন, ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী লিটন মিয়া মামলাটি করেছেন। মামলায় সাঈদ হোসেন ও রাজু মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, মামলার পরপরই সাঈদ ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, তাঁর হাসপাতালে সাঈদ একসময় আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করতেন। তিনিই ভুয়া প্রত্যয়নপত্র তৈরির মূল হুতা বলে মনে করছেন তাঁরা।