টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা 'ডাকাত' নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শরিফ (২৬)।

গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের ডি-৩ ও ডি-৪ এর মাঝখানে পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফ জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের ডি-১ ব্লকের বাসিন্দা আব্দূস সালাম ওরফে মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা ডাকাত। তিনি রোহিঙ্গা জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি দুটি এলজি, সাতটি গুলি ও আটটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এএসআই মোহাম্মদ আমির ও কনস্টেবল মোহাম্মদ আজিজ আহত হয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পুলিশ জানতে পারে, জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে মাঝখানের পাহাড়ের পাদদেশে রোহিঙ্গা ডাকাত জকির আহমদের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতেরা অবস্থান করছে। থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জামশেদ আহমদের নেতৃত্বে অভিযানে গেলে ডাকাতেরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় এএসআই আমির ও কনস্টেবল আহত হন। পরে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এরপর ডাকাতদলের সদস্যরা পিছু হটে । গুলি করতে করতে তারা গভীর পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার এবং দুইটি এলজি, সাতটি তাজা গুলি ও আটটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি ও পুলিশের দুই সদস্যকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ পোশাকে থাকা ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশের দুজন সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য সাধারণ পোশাকে থাকা ব্যক্তিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আজ রোববার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় চারজন নারীসহ ২৪৫জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৮৯জন রোহিঙ্গা নাগরিক।