ভৈরবে এক দিনে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জ জেলায় এক দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ভৈরবের ৪২ জন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে আছেন ৫ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় দিক দিয়ে জেলার মধ্যে ভৈরব অনেকটা এগিয়ে। আজ রোববার করোনা প্রতিরোধ কমিটি এই তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আগের দিন শনিবার ১৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে ভৈরবে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২০০ ছুঁয়েছে। আজ এক লাফে সংখ্যাটি ২৪২ গিয়ে ঠেকে। ৪২ জনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া যায় ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে। সেই হিসাবে আক্রান্তের হার ৫৭.৫৩ শতাংশ। সংখ্যাটি এক দিনের হিসাবে জেলায় এবং ভৈরব উভয় স্থানে সর্বোচ্চ। একই দিনে কটিয়াদীতে তিনজনের সংক্রমণ পাওয়া যায়।

একই সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জে উপজেলার সংখ্যা ১৩টি। পুরো জেলায় মোট আক্রান্ত ৬০২ জন। এর মধ্যে শুধু ভৈরবে ২৪২ জন। শতকের ঘরে পৌঁছাতে ৫০ দিন লাগলেও দ্বিশতক পূর্ণ হয় মাত্র ৭ দিনে।
এ অবস্থায় সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে আনতে শুক্রবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ভৈরবকে নতুন করে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে স্বেচ্ছায় এসে নমুনা দেওয়ার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ ধরে দিনে গড়ে ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ব্যক্তিই করোনার উপসর্গ নিয়ে আসছেন। অথচ ঈদের আগে নানা কৌশল করেও ৩০ জনের ওপরে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হতো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব। তিনি বলেন, নমুনা পেতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সভা করতে হয়েছে। তার পরও নমুনা পাওয়া যায়নি। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে ঈদের পর সকাল থেকে লোকজনের সারি। যদিও এখন নমুনা দেওয়া নিয়ে তদবির চলছে। আজ পরীক্ষা উপকরণ স্বল্পতার কারণে বেশির ভাগের নমুনা নেওয়া যায়নি। তবে আগামীকাল থেকে এই সমস্যা থাকবে না বলে জানান বুলবুল আহমেদ।