ব্যাংকের সামনে 'আউকা' বলে ঘিরে ধরে টাকা ছিনতাই

ছিনতাই
ছিনতাই

ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হলেন আবদুল হক। সঙ্গে সঙ্গে তিন যুবক তাঁকে 'আউকা' (আসুন) বলে ঘিরে ধরেন। সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান তাঁরা। প্রায় আধা ঘণ্টা পর আবদুল হক আবার ব্যাংকের সামনে আসলেন। জানালেন, ওই তিনজন ছিল ছিনতাইকারী। অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

সিলেট নগরীর মদিনামার্কেট এলাকায় রূপালী ব্যাংকের সামনে রোববার ভরদুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পেশায় ব্যবসায়ী আবদুল হক মদিনামার্কেট এলাকার বাসিন্দা।

আবদুল হক বলেন, একজন প্রবাসী রূপালী ব্যাংকের মদিনামার্কেট শাখায় তাঁর হিসাব নম্বরে তিন লাখ টাকা পাঠান। রোববার দুপুর ১২টার দিকে ওই টাকা উত্তোলন করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে এক কিশোর আত্মীয় ছিল। ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল ওই কিশোরের পকেটে দেন। বাকি আড়াই লাখ টাকা নিজ পকেটে রেখে ব্যাংক থেকে বের হন তিনি। এ সময় তিন যুবক এসে ‘আউকা’ বলে তাঁকে ঘিরে ধরে। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী তারাপুর চা-বাগানের নির্জন একটি রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে অটোরিকশা থেকে তাঁকে নামিয়ে দেয়। সবার মুখে মাস্ক থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানান আবদুল হক।

ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর আবদুল হক রূপালী ব্যাংকের মদিনামার্কেট শাখার কাছে ফিরে আসেন। তখন আশপাশের লোকজনের ছিনতাইয়ের কথা জানান। তবে পারিপার্শ্বিক কিছু ঘটনার কারণে কেউ কেউ ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলছেন।
বৃহত্তর মাদিনামার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, ছিনতাইকারীরা শুধু আবদুল হক ধরে নিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে থাকা কিশোর ছেলেটি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। সে কিছুই বলতে পারেনি। আবার উত্তোলন করা টাকাগুলো একজন প্রবাসীর। আবদুল হক এই টাকার বাহক ছিলেন মাত্র। এসব কারণে ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আবদুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনা হয়েছে। তাঁর বর্ণনা শুনে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা যাচাই করে প্রকৃত ঘটনা জানার পর ছিনতাইকারী শনাক্ত করা হবে।