সেই সোহেল রানার জামিন স্থগিত, দিদারুলের জামিন হয়নি

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই জামিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ দিকে ডেসটিনির কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ডায়মন্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের ততকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম আজ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাননি। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দিদারুলের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে ৩০ জুন অথবা নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত সময়ের জন্য আবেদন শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রেখেছেন। ডায়মন্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের ৫০ শতাংশ শেয়ার ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (ডিএমসিএসএল) কিনে নিয়েছিল।

আর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোহেল রানার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করে দুদক। এতে দুই কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় গত ১৭ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত থেকে জামিন পান সোহেল রানা। এর বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। আর সোহেল রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. কায়সার জাহিদ ভূইয়া। পরে আমিন উদ্দিন মানিক প্রথম আলোকে বলেন, নিয়মিত আদালত খোলার পর এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ের জন্য সোহেল রানার জামিন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

অন্যদিকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে গত বছর বিফল হয়ে দিদারুল আলম হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। দিদারুলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী এম মঈনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে এম মঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট দিদারুল আলমকে জামিন দেননি। ৩০ জুন অথবা নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত জামিন আবেদনের শুনানি মুলতুবি করা হয়েছে। ৩০ জুন নিয়মিত আদালত না খুললে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে পুনরায় জামিন আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি করে দুদক। আইনজীবীর ভাষ্য, মামলায় ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আর্থিক অর্থবছর ২০০৯-২০১০ থেকে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১১৭৮কোটি ৬১ লাখ টাকা স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় ৪৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ আদালত ৪-এ বিচারাধীন।