করোনাসহ যে কোনো বিষয়ে গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসসহ যে কোনো বিষয়ে গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ এবং জনস্বার্থ রক্ষায় সরকার এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।’

রাজধানীতে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের ইউএসটিসি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ১০০ শয্যার কোভিড ইউনিট উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে সারা পৃথিবীতে ভেন্টিলেশন ইউনিটের সংকট ছিল। এ কারণে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে ৬৫ বা তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষের চেয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণদের ভেন্টিলেশন ইউনিটের মাধ্যমে চিকিৎসার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসের সামনে ও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে পিপিই’র জন্য বিক্ষোভ হয়েছে। কানাডায় ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মাস্কের সংকট ছিল। আমাদের দেশে এ ধরনের সংকট হয়নি। বরং দু’দিন আগে নাইজেরিয়া বিমান পাঠিয়ে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, পিপিই ও অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রী নিয়ে গেছে। আমরা এ সকল সুরক্ষা সামগ্রী মালদ্বীপেও পাঠিয়েছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসসহ যে কোনো বিষয়ে গুজব, আতঙ্ক বা অপপ্রচার ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ, যা শাস্তিযোগ্য। এরই মধ্যে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ঘটলেও সরকার ব্যবস্থা নেবে।’

চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০, জেনারেল হাসপাতালে ১০০, ইউএসটিসি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ১০০, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫০টি বেড এর মধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে। চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ সংখ্যানুপাতে বৈশ্বিক নিয়মানুযায়ী ১০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য যা পর্যাপ্ত। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি কমিউনিটি সেন্টারও প্রস্তুত হচ্ছে।’ একই সঙ্গে আগাম সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রামের আরও কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টারকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রূপান্তরের জন্য সিটি মেয়রকে অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বেনজীর আহমেদ ও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম- ইউএসটিসি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পক্ষে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য প্রকৌশলী নূর ই জান্নাত আয়েশা ইসলাম ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।