কুষ্টিয়ার এডিসির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) সিরাজুল ইসলামের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়ায় কর্মরত কালের কণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার তারিকুল হকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ দুজনসহ গতকাল মঙ্গলবার জেলায় ১৫ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

গতকাল রাত ১০টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, নতুন আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৯ জন, মিরপুরের ২ জন, কুমারখালীর ২ জন ও খোকসা উপজেলার ২ জন। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের ১৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। এই নিয়ে কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ১৫৩ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হলো। তাঁদের ৩১ জন সুস্থ হয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১ জুন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থেকে পদোন্নতি পেয়ে সিরাজুল ইসলাম কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। তবে যোগদান করেই তিনি কুষ্টিয়ার বাসায় কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) ছিলেন। গতকাল সকালে তিনি নমুনা দেন। রাতে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের এক নারী কর্মকর্তার স্বামীর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

এডিসি সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শরীরে করোনার তেমন কোনো উপসর্গ নেই। সুস্থ আছি। বাসা থেকেই চিকিৎসা নেব।’

কালের কণ্ঠের কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার তারিকুল হক বলেন, তিন দিন ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত। আপাতত আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
তারিকুল হক কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। এর আগে তিনি দীর্ঘ ১২ বছর প্রথম আলোয় কর্মরত ছিলেন।