জ্বর-শ্বাসকষ্টে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

পঞ্চগড়ে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে এক মুক্তিযোদ্ধার (৭৫) মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত আটটায় রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে ওই দিন সকাল নয়টায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে তাঁর করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ পঞ্চগড় সদরের বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

পরিবার ও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সামাদ দীর্ঘদিনের অ্যাজমা রোগী। তাঁর মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্ট হতো। গত বৃহস্পতিবার তাঁর জ্বর ও কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট কিছুটা বেড়ে গেলে তাঁকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবারের লোকজন। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার সকালে তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া তাঁর বুকের এক্স-রে–সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। পরে তাঁর এক্স-রে প্রতিবেদনে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিলে চিকিৎসকেরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান। সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁকে আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠান। পরে রাত আটটার দিকে সিএমএইচের আইসিইউ কক্ষে নেওয়া মাত্রই তাঁর মৃত্যু হয়।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. সিরাজউদ্দৌলা পলিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ পুরোনো অ্যাজমা রোগী ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তার তাঁর বুকে এক্স-রে করানোর পর ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় রংপুরের পাঠানো হয়েছিল। এর আগে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরীক্ষার ফল পাওয়া গেলে তিনি করোনা সংক্রমিত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যবে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম রব্বানী বলেন, আজ রোববার বেলা ১১টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

এর আগে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী, বোদা উপজেলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৫০ বছর বয়সী এক নারী এবং পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তাঁদের মধ্যে বোদা ও দেবীগঞ্জে মারা যাওয়া দুজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। তেঁতুলিয়া উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নারী ও পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার মারা যাওয়া তরুণের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।