চট্টগ্রামে গুদাম ব্যবসায়ী উধাও

চট্টগ্রামে একজন গুদাম ব্যবসায়ীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ব্যবসায়ীরা ভাড়া করা গুদামে যাঁরা পণ্য রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, গুদাম থেকে বিটুমিন সরিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে অন্য পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে আমদানিকারকেরা আতঙ্কে আছেন।

উধাও হয়ে যাওয়া এই ব্যবসায়ীর নাম আবদুল মালেক। তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘মালেক মাঝি’র কোনো কর্মকর্তাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।

গুদাম ব্যবসায়ীদের সংগঠন চট্টগ্রাম ওয়্যার হাউস কমিশন এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিন আগে একজন আমদানিকারক বিটুমিনের একটি চালান বিক্রি করেন এক ব্যবসায়ীর কাছে। গুদাম থেকে বিটুমিন খালাস নিতে যান ওই ব্যবসায়ী। তখনই গুদামে বিটুমিন না থাকার বিষয়টি ফাঁস হয়।

আলী আহমদ আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আবদুল মালেকের যেসব গুদাম আছে, সেগুলো থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয় সমিতি থেকে। যাঁদের পণ্য আছে, তাঁদের অভিযোগ জানাতে বলেছি। এ পর্যন্ত ৩০ জন আমদানিকারক বিটুমিন, চাল, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য মালেক মাঝির গুদামে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। সব অভিযোগ পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।’

ওয়্যার হাউস কমিশন এজেন্টরা জানান, নগরের মাঝিরঘাট, সাগরিকা, পোর্ট কলোনি, ফৌজদারহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত গুদাম পণ্য রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিয়েছিলেন আবদুল মালেক। তবে তাঁর গুদামগুলোতে ঠিক কত পণ্য আছে, তা সরেজমিনে যাচাই ছাড়া এখনই বলা যাচ্ছে না।

আবদুল মালেকের গুদামে পণ্য আছে বিএসএম গ্রুপের। গ্রুপটির চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি (আবদুল মালেক) বিশ্বস্ততার সঙ্গে এ ব্যবসা করছেন। তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় কিছুটা উদ্বেগ আছে। আশা করছি, তিনি ফিরে আসবেন।’

আবুল বশর চৌধুরী আরও বলেন, ‘ওয়্যার হাউস কমিশন এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে যে সমিতি আছে, তা আমদানিকারকদের আস্থাভাজন। সমিতি ও আমদানিকারকদের যৌথ চেষ্টায় বিষয়টি সমাধান করা যাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’ 

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়্যার হাউস কমিশন এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বিষয়টি মধ্যস্থতা করছে। আশা করি, আতঙ্কের কারণ নেই।’