নওগাঁয় দুই সপ্তাহে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দ্বিগুণ

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

নওগাঁয় নতুন করে আরও ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ২০৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেন। মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই গত ১৪ দিনে শনাক্ত হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশিষ কুমার সরকার।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, আজ সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে নওগাঁর ৭০টি নমুনার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ১০টি নমুনায় পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে ৯টি নতুন এবং একটি আগে শনাক্ত রোগীর দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্ত নয়জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও তিনজন নারী। এর মধ্যে সদর উপজেলায় দুজন, পত্নীতলার তিনজন, মান্দার দুজন, ধামইরহাটের একজন ও বদলগাছী উপজেলার একজন রয়েছেন। দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসায় আজ রোববার আরও আটজন সংক্রমিত ব্যক্তিকে সুস্থ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, জেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় গত ২৩ এপ্রিল। জেলায় প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ১০৯ জন শনাক্ত হতে সময় লাগে ৩৯ দিন। এরপর চলতি মাসের ১৪ দিনেই ৯৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ পর্যন্ত সংক্রমিতদের মধ্যে ১২৮ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন তিনজন।

জেলায় সংক্রমণের শীর্ষে নওগাঁ পৌর শহর এলাকা। জেলায় মোট শনাক্ত ২০৭ জনের মধ্যে ৭৮ জনই নওগাঁ সদর উপজেলার। এই ৭৮ জনের মধ্যে ৭২ জনই নওগাঁ পৌর এলাকার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত জেলায় যে ৩ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা নওগাঁ সদরের।

গতকাল শনিবার পর্যন্ত জেলার ৪ হাজার ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। ফলাফল পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৬০০ জনের।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেন, নওগাঁ জেলায় নতুন করে কোনো এলাকা লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হবে কি না, এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চলতি মাসের ১৪ দিনে জেলার কোন এলাকায় কত জন আক্রান্ত হয়েছেন, এসব তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে। তথ্য বিশ্লেষণের পর প্রয়োজন হলে কোনো এলাকা লকডাউন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।