দলে ৩৩% নারী পদ পূরণে নির্দিষ্ট সময়সীমা রাখতে চায় না ইসি

নির্বাচন কমিশন ভবন
নির্বাচন কমিশন ভবন

রাজনৈতিক দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্ত করতে আর নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংক্রান্ত একটি নতুন আইনের খসড়ায় এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন-২০২০ নামে আলাদা একটি আইন করতে চাইছে সংস্থাটি। এর খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়ার ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ খসড়ার ওপর মতামত দিতে পারবেন। 

ইসি সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই আইনের খসড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইসির ওয়েবসাইটেও খসড়া দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত ই-মেইলে ([email protected]) খসড়ার ওপর মতামত দেওয়া যাবে।

মূলত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিধি বিধান উল্লেখ আছে। বর্তমান কমিশন এই বিধানগুলো আলাদা করে এবং কিছু সংযোজন বিয়োজন করে আলাদা আইন করতে চাইছে। তাতে বড় পরিবর্তন হচ্ছে, নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সময়সীমা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণের বিধানটি এনেছিল। তাতে দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ২০২০ সালের মধ্যে এই কোটা পূরণ করার শর্ত ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দলই এই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এই অবস্থায় ইসি এই শর্ত পূরণে নির্দিষ্ট সময় সীমা তুলে দিতে চাইছে।
এ বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের গঠনতন্ত্রে এমন বিধান থাকতে হবে যাতে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদ নারীদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা থাকবে। ইসিতে দেওয়া বার্ষিক বিবরণীতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিবরণী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


নতুন খসড়ায়ও বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী এবং আর্থিক, বাণিজ্যিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বা সংস্থার কর্মচারী বা শ্রমিকদের সমন্বয়ে বা অন্য কোনো পেশার সদস্যদের সমন্বয়ে অঙ্গ সংগঠন করা যাবে না। তবে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সংগঠিত হওয়া বা সংগঠন, সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ইত্যাদি গঠন করতে পারবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো দল কোনো তথ্য পর পর তিন বছর সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে, নিবন্ধন শর্ত ভঙ্গ করলে, পরপর দুটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিল করা হবে। তবে নিবন্ধন বাতিলের আগে সংশ্লিষ্ট দলকে শুনানির সুযোগ দেওয়া হবে।