যশোরে সেই ছাত্রদল নেতাকে থানায় সোপর্দ করল র্যাব

যশোরে নিখোঁজ ছাত্রদলের নেতা ইব্রাহিম খলিল (২৬) ও তাঁর বন্ধু রিপন সরদারকে (২৬) মনিরামপুর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৬) খুলনার একটি দল। দুজনকে আসামি করে র‌্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাঁদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ইব্রাহিম যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ছাত্র। বাড়ি সদর উপজেলার নতুনহাট গ্রামে। অপর তরুণ রিপন সরদার সদর উপজেলার মেঘলা গ্রামের বাসিন্দা।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-৬ এর একটি দল ওয়ান শুটার গান ও একটি রাম দাসহ ইব্রাহিম ও রিপনকে থানায় নিয়ে আসে। র‌্যাব-৬ খুলনা কোম্পানি স্পেশাল কমান্ডের ওয়ারেন্ট অফিসার রিপন শিকদার বাদী হয়ে থানায় অস্ত্র আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ইব্রাহিম ও রিপনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, র‌্যাবের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, গত বুধবার রাতে মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা গ্রামের জনৈক আসাদের বাড়ির পাশের বাগানে বসে ডাকাতির প্রস্তুতি চলছিল। সূত্রের মাধ্যমে এই সংবাদ পেয়ে র‌্যাব-৬ খুলনার একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় তারা গুলিভর্তি একটি ওয়ান শুটার গান এবং একটি রাম দাসহ ইব্রাহিম এবং রিপন সরদারকে আটক করে।

তবে ইব্রাহিমের পরিবারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই দাবি করা হচ্ছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে একদল লোক ১৩ জুন রাতে ঝিকরগাছার লাউজানি বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে ওই দুজনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর যশোরে পুলিশ ও র‌্যাব অফিসে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। এ অবস্থায় ১৬ জুন দুপুরে ইব্রাহিমের মা নূরজাহান বেগম ঝিকরগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ইব্রাহিম খলিলের ভাই মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে লাউজানি বাজার থেকে ইব্রাহিম ও তাঁর বন্ধু রিপনকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়।