খুলনা বিভাগে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০০

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা বিভাগে নতুন করে ১৪৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই বিভাগে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হলেন ১ হাজার ৯২৫ জন।

একই সঙ্গে কোভিডে খুলনা ও চুয়াডাঙ্গায় আরও দুজনের মৃত্যু যোগ হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬। আজ শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৫৩ শতাংশই শনাক্ত হয়েছেন গত ১০ দিনে। ৯ জুন বিভাগে রোগী ছিল ৯১৭ জন। এ বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন ১৯ মার্চ, চুয়াডাঙ্গায়।

স্বাস্থ্য বিভাগের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভাগে যথাক্রমে যশোর, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গার পর চতুর্থ জেলা হিসেবে কুষ্টিয়ায় শনাক্ত রোগী ১০০ ছাড়িয়ে যায়। তবে কয়েক দিন ধরে খুলনা ও কুষ্টিয়ায় ব্যাপক হারে রোগী বাড়ছে। ভৌগোলিক দিক থেকে বিভাগের মোটামুটি দুই প্রান্তের এই দু্ই জেলায় এখন রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই চার জেলার বাইরে ঝিনাইদহ ও বাগেরহাটে রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০ আর সাতক্ষীরা জেলায় রোগী ১০০ ছুঁইছুঁই করছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বিভাগে নতুন সংক্রমিত হওয়া ১৪৮ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় ৮৩ জন, বাগেরহাটে ২ জন, সাতক্ষীরায় ১০ জন, যশোরে ৬ জন, ঝিনাইদহে ৪ জন, মাগুরায় ২ জন, নড়াইলে ২ জন, কুষ্টিয়ায় ৩৪ জন ও চুয়াডাঙ্গায় ৫ জন রয়েছেন।

এ নিয়ে খুলনায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৬৭২ জন, বাগেরহাটে ১০২ জন, সাতক্ষীরায় ৯৬ জন, যশোরে ২৮৯ জন, ঝিনাইদহে ১২৩ জন, মাগুরায় ৫৮ জন, নড়াইলে ৭৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৩০৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৬৯ জন ও মেহেরপুরে ৩৬ জন। বিভাগে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫১৬ জন।

বিভাগে এখন পর্যন্ত কোভিড–১৯–এ মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। গত মে পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ১০। বাকি ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জুনে। এর মধ্যে গত সাত দিনেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ১০ জন এবং মেহেরপুরে ৩ জন। এ ছাড়া বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় ২ জন করে এবং যশোরে মারা গেছেন ১ জন।

খুলনা জেলায় আক্রান্ত ৬৭২ জন রোগীর মধ্যে ৪৯৫ জনই নগরের। অর্থাৎ জেলার প্রায় ৭৪ শতাংশ রোগী খুলনা নগর এলাকার বাসিন্দা।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, মানুষ এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, ঘরে থাকতে চাইছেন না। সে জন্য পরিস্থিত খারাপের দিকে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগের অবস্থা ভালোই ছিল। গত ১০ দিনে সংক্রমণের হার এতটা বেড়েছে যে সেটা এখন গভীর উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। বিশেষ করে খুলনা জেলায় অবস্থা ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।