মুন্সিগঞ্জে নতুন করে ২০ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত ৩

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন নতুন করে আরও ২০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন করোনা রোগী। এ সময় করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২। এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৬।

আজ শুক্রবার বিকেলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় রয়েছেন ৭ জন, সিরাজদিখানে ৮ জন ও লৌহজংয়ে ৫ জন। মৃতদের মধ্যে সদর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন ও শ্রীনগর উপজেলায় একজন করোনা শনাক্তের আগেই মারা গেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ১৭ ও ১৮ জুন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ২০৮ জনের রিপোর্ট এসেছে। এতে ২০ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এদিকে, আজ ২৪৬ জনসহ পরীক্ষার জন্য এ পর্যন্ত জেলার মোট ৮ হাজার ২৯০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৯৪৬ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন আরও ৩৪৪ জন।

এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৭৫৭ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ১৫৮ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ২৮৪ জন, লৌহজং উপজেলায় ২৪৩ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১৬৩ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১৭১ জন করোনা শনাক্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২২ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৮ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৫ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ২ জন ও লৌহজং উপজেলায় ৫ জন করোনা সংক্রমিত রোগী মারা গেছেন।

অন্যদিকে, নতুন করে সিরাজদিখান উপজেলায় ২৩ জন, লৌহজং উপজেলায় ৯ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৪ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৬২।

সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত কিছুদিনের তুলনায় আজ প্রাপ্ত ফলাফল সন্তোষজনক। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, পরীক্ষাকৃত নমুনার ১০ শতাংশ মানুষ করোনোয় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ায় এখনই পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলা যাবে না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন কমে আসবে। এ মুহূর্তে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে বলে তিনি জানান।