২৪ ভাগ স্বাস্থ্যসেবাদানকারী এখনো পিপিই পাননি: জরিপ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত সম্মুখসারির স্বাস্থ্যসেবাদানকারীদের ২৬ শতাংশ মে মাস পর্যন্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বা পিপিই পাননি। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা পিপিইর মান এবং ব্যবহারের প্রশিক্ষণ না থাকায় উদ্বিগ্ন।

আজ শনিবার নাগরিক সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ করোনাভাইরাস মহামারিতে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর করা গবেষণা তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে এ কথা বলা হয়েছে। হেলথ ওয়াচের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ।

একই ধরনের একটি গবেষণা গত এপ্রিল মাসেও করা হয়। সে সময়ে টেলিফোনের মাধ্যমে মোট ৬০ জন সম্মুখসারির স্বাস্থ্যসেবাদানকারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সেবা দিচ্ছিলেন। এদের মধ্যে গত মে মাসের ৫-১১ তারিখে দ্বিতীয় দফায় ৪৬ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। তাদের পিপিই এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত প্রশ্ন করা ছাড়াও প্রথম সাক্ষাৎকারের ফলোআপ হিসেবে হেলথওয়াচের করা আগেরবারের সুপারিশগুলোর হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল।

গবেষণায় বলা হয়, মে মাসে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় ২৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাঁরা তখন পর্যন্ত পিপিই পাননি। এদের মধ্যে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ এমবিবিএস চিকিৎসক, ৫০ শতাংশ নার্স ও মিডওয়াইফ এবং ১২ দশমিক ৫ শতাংশ প্যারামেডিকস। তবে সংস্থাটি জানায়, এপ্রিল মাসের জরিপের চেয়ে পিপিই বিতরণে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে প্যারামেডিকদের মধ্যে পিপিই সরবরাহ বেড়েছে। যদিও জরিপকালে সম্মুখসারির স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সরবরাহকৃত পিপিই-র মান এবং প্রশিক্ষণের অভাবে পিপিই সঠিকভাবে ব্যবহার না হওয়ার বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ জানায়, চিকিৎসকদের আবাসন, খাবার ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হলেও যথেষ্ট পরিমাণে নয়। এ ছাড়া এই সুবিধাগুলো চিকিৎসক ছাড়া অন্যান্য সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীরা পাচ্ছেন না।

স্বাস্থ্যকর্মীদের মনের ওপর চাপ বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে গবেষণায় বলা হয়, বিশেষ করে চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বাড়তে থাকা চাপ কমাতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্বাস্থ্যসেবাদানকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বর্তমানের পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য গবেষণায় পিপিইর পরিমাণ ও গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যসেবাদানকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।