স্ত্রীর কবরে শেষ শয্যায় কামাল লোহানী

শেষবারের মতো কামাল লোহানীকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হচ্ছে। আজ শনিবার রাত ১০টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সোনতলা গ্রামের কবরস্থানে। ছবি: আরিফুল গণি
শেষবারের মতো কামাল লোহানীকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হচ্ছে। আজ শনিবার রাত ১০টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সোনতলা গ্রামের কবরস্থানে। ছবি: আরিফুল গণি

১৪ বছর আগে মারা যাওয়া স্ত্রী দীপ্তি লোহানীর কবরে শেষনিদ্রায় শায়িত হলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী। আজ শনিবার রাত ১০টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলা গ্রামের কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

শনিবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে জন্মস্থান উল্লাপাড়ার সোনতলা গ্রামে এসে পৌঁছায় কামাল লোহানীর মরদেহ। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর পুলিশের একটি দল এই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায়। তাঁরা এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ তানভির ইমাম, সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ, উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুজ্জামান প্রমুখ। রাত ১০টার দিকে সোনতলা করবস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

দাফনের আগে প্রয়াতের ছেলে সাগর লোহানী তাঁর বক্তব্যে বলেন, কামাল লোহানী মৃত্যুর পর তাঁর দেহ দান করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনার সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর কারণে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তবে তিনি চেয়েছিলেন আলাদা করে কবর খুঁড়ে যেন জায়গা নষ্ট করা না হয়। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ীই বাবা মুসা লোহানী ও মা রিজিয়া লোহানীর কবরের পাশে স্ত্রী দীপ্তি লোহানীর কবরে দাফন করা হয়।

শনিবার সকাল ১০টার পরে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামাল লোহানী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে বলে গতকাল শুক্রবার জানান তাঁর মেয়ে ঊর্মি লোহানী। কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা ছাড়াও হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যায়ও ভুগছিলেন।