ভৈরবে আরও ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নতুন করে ৩৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ছয় দিন আগে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আয়কর বিভাগ ঢাকা শাখার উচ্চমান সহকারীর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এতে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয় সাত থেকে আট। সংক্রমণ শনাক্ত মারা হয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম সগীর আহমেদ (৪০)। তিনি পৌর শহরের পৌরসভা সড়ক এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ৩৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ভৈরবে মোট সংখ্যা হয় ৪৬০। এই সংখ্যা আসে ১ হাজার ৯৯২ জনের পরীক্ষা থেকে। সংক্রমণ ও মৃত্যু—দুই দিক দিয়ে সংখ্যাটি এখন জেলার শীর্ষে। তবে এখনো সর্বশেষ পাঁচ দিনের ফলাফল পাওয়া যায়নি। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫৩ জন।

এদিকে সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনের জারি করা দুই সপ্তাহের লকডাউন গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে। লকডাউন ঘোষণা হলেও মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে যথাযথ তদারকি ছিল না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ফলে লকডাউনের সুফল আসেনি। সামাজিক সংক্রমণ কমেনি, বরং নমুনা সংগ্রহ ও ফল জানা নিয়ে পদে পদে ভোগান্তি বেড়েছে। এখনো ভৈরব থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০টি নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। এতে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনাজটে আটক আছে ভৈরবের করোনা–পরিস্থিতি।

এ অবস্থায় নমুনার ফলাফল পাওয়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসতে না পারায় বাড়তি দুশ্চিন্তায় আছেন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, কোনোভাবেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। লোকজনকে ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না। অনেকে তথ্য গোপন করছেন। এতে সামাজিক সংক্রমণের হার আরও বেড়ে গেছে। এই সমস্যাগুলো রেখে সামাজিক সংক্রমণ কমিয়ে আনা কঠিন।