সরকারের কাছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির তিন দাবি

মুঠোফোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেটের 'বিশেষ শিক্ষা প্যাকেজ' ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন–ভাতা নিশ্চিত করার জন্য বাজেটে থোক বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারের কাছে এসব দাবি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

বিশ্বব্যাপী গভীর দুর্যোগপূর্ণ সময়ে একটি আশাবাদী বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ মিলিয়ে মোট ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাখাতে এ বছরে বরাদ্দ ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ০১ শতাংশ বেশি। এছাড়া বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজও রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে মহামারির প্রকোপ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট। এ কারণে ব্যবসায়ের গতি বদল হচ্ছে, বদলে যাচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থাও। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গত মার্চের শেষদিক থেকে অনলাইনে পাঠদানে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বাজেটে মোবাইল কলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব কার্যকর করায় তা মোবাইল ইন্টারনেটের জন্যও প্রযোজ্য হয়। যা অনলাইনে পাঠগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হুট করে নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি সরকারের কাছে তিনটি দাবি করেছে। এগুলোর মধ্যে মুঠোফোনের কলের ওপর সম্পূরক শুল্ক শিক্ষার্থীদের জন্যে পুরোপুরি প্রত্যাহার। পাশাপাশি সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সব ক্যাম্পাসে উচ্চমাত্রার বা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেটসেবা বিনামূল্যে দেওয়ার আহবান করা হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, শিক্ষার্থীদের জন্যে অতি সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেটের 'বিশেষ শিক্ষা প্যাকেজ' দেওয়া হোক। এই বিশেষ প্যাকেজটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষন করা হোক। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি আবেদন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন–ভাতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট হারে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে একটি থোক বরাদ্দ রাখার আহবান করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ দাবিটি পূরণ হলে সাময়িক অর্থ ঘাটতির মুখে সকলের বেতন-ভাতার সুরক্ষা সম্ভব হবে।