বিভাগে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এগিয়ে খুলনা জেলা

করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ চলছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি
করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ চলছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি

খুলনা বিভাগে নতুন করে ১৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই বিভাগে করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হলেন ২ হাজার ৬৮৪ জন। পাশাপাশি নড়াইলে দুইজন কোভিড–১৯ পজিটিভ রোগী মারা যাওয়ায় বিভাগে মৃতের সংখ্যা ৩৬–এ দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে খুলনা জেলা এগিয়ে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৪৮। আর মৃতের সংখ্যা ১৩।

আজ মঙ্গলবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, বিভাগে নতুন করে ৪৩ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৭৪ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুলনা বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ। পরবর্তী ৭৩ দিনে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০০। ১১ জুন ৮৫তম দিনে এখানে সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার রোগী ছাড়ায় ১৬ জুন, অর্থাৎ ৯০তম দিনে। আর ২ হাজার রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় ২০ জুন ৯৪তম দিনে। আড়াই হাজার ছাড়ায় ২২ জুন ৯৬তম দিনে।
বিভাগে নতুন সংক্রমিত ১৫১ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় ৭৫, বাগেরহাটে ৬, সাতক্ষীরায় ৫, যশোরে ২৩, ঝিনাইদহে ৩, মাগুরায় ৮, নড়াইলে ৬, কুষ্টিয়ায় ১১, চুয়াডাঙ্গায় ৯ ও মেহেরপুরে ৫ জন।
এ নিয়ে বিভাগের মধ্যে খুলনায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ১৪৮ জন, বাগেরহাটে ১১৮ জন, সাতক্ষীরায় ১০৬ জন, যশোরে ৩৭১ জন, ঝিনাইদহে ১৩২ জন, মাগুরায় ৭২ জন, নড়াইলে ১০৬ জন, কুষ্টিয়ায় ৩৯৫ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৯ জন ও মেহেরপুরে ৪৭ জন।
বিভাগে এখন পর্যন্ত কোভিড–১৯–এ মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ১৩ জন, নড়াইলে ৫ জন, মেহেরপুরে এবং কুষ্টিয়ায় ৪ জন করে। এ ছাড়া বাগেরহাট, ঝিনাইদহে, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দুজন করে রোগী মারা গেছেন। সাতক্ষীরায় কোনো কোভিড–১৯ রোগী মারা যাননি।
বিভাগের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন খুলনায় ১২৮ জন, বাগেরহাটে ৩০ জন, সাতক্ষীরায় ১৪, যশোরে ১৩০ জন, ঝিনাইদহে ৬২ জন, মাগুরায় ৩৩ জন, নড়াইলে ৩৩ জন, কুষ্টিয়ায় ১১৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১০৯ জন ও মেহেরপুরে ২১ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের গতি প্রথম আড়াই মাস খুবই কম ছিল। কয়েক দিন ধরে তা লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। বিভাগের মধ্যে খুলনার অবস্থা উদ্বেগজনক। খুলনার তিনটি এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করা হচ্ছে।