করোনা রোগী জীবাণুনাশক পান করে গুরুতর অসুস্থ

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

দ্রুত করোনাভাইরাসমুক্ত হওয়ার আশায় কুষ্টিয়ায় এই ভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত এক নারী (৪৮) জীবাণুনাশক তরল পান করেছেন। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ওই নারী কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার বাসিন্দা। কয়েক দিন আগে পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ হন। এরপর বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। তিনি জীবাণুনাশক পান করেছিলেন বলে স্বজনেরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, কোনো জীবাণুনাশক মানুষের শরীরে প্রবেশ করানোর বিষয়টি অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, জীবাণুনাশক বাহ্যিক প্রয়োগের জন্য। এগুলো করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগজীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা রাখে, এটা সত্য। কিন্তু ইনজেকশন করে বা অন্য কোনোভাবে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে অসুস্থ এক নারীকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের জানানো হয়, তিনি কয়েক দিন আগে নমুনা পরীক্ষায় করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন। এরপর বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সুস্থ হওয়ার জন্য বাড়ির সবার অজান্তে তিনি জীবাণুনাশক পান করেছেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার পর ওই নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি খুব বেশি পরিমাণে জীবাণুনাশক পান করেননি। তাই আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত।

এদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত নারীকে হাসপাতালে আনার খবর দ্রুতই জানাজানি হয়ে যায়। এতে হাসপাতালে থাকা সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় চিকিৎসকেরা ওই নারীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দেন। সেখানে ৪৫ মিনিট থাকার পর স্বজনেরা ওই রোগীকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে যান।