সরকারের পদক্ষেপে করোনা নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণ হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের চতুর্থ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন সঞ্চালিত এ সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ তিন মাসের বেশি সময় ধরে প্রায় সবকিছু বন্ধ। এখন সীমিত আকারে খুললেও সবকিছু চালু হয়নি। সরকারের সঠিক এবং সময়োচিত পদক্ষেপ ও একই সঙ্গে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণেই তিন মাসে বাংলাদেশে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। দেশে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। খাদ্যের জন্য হাহাকারের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন, তাঁদের সেই মত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরও নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং এগুলো ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে। আমরা যদি এভাবে এগিয়ে যেতে পারি, পরম সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমরা এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’

চিকিৎসা শুধু ধনাঢ্য ব্যক্তিদের জন্য নয়, চিকিৎসা সবার জন্য এবং সরকার সেটি নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সামর্থ্য অনুযায়ী সব মানুষের জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে।

চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে আইসিইউ বেড ১৯৬টি। এর মধ্যে কিছু বেড খালিও আছে। অর্থাৎ এখানে শুরুতে যে সংকট ছিল, এখন তা নেই। চট্টগ্রামের রোগীরা যাতে আরও ভালোভাবে চিকিৎসাসুবিধা পান, সে জন্য আমরা সর্বোতভাবে চেষ্টা করছি, চট্টগ্রামে নিয়মিত সমন্বয় সভা করছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরাও কষ্ট করে অনেক কাজ করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা করে যে উদাহরণ তৈরি করেছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের অনুসরণ করবে বলে আমি আশা করি।’ মন্ত্রী এ সময় চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং প্রয়োজনে লাশ দাফনের কাজে এগিয়ে আসা মানুষ ও সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন ও জীবিকা রক্ষা দুটির মধ্যে সমন্বয় করেই নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সে জন্য এখন এলাকাভিত্তিক রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, চিহ্নিত এলাকায় যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন, আমাদের অবশ্যই কঠোরভাবে সেগুলো মানতে হবে। তাহলেই আমাদের পক্ষে নিজেদের, নিজের পরিবারকে, নিজের কাছের জনদের সুরক্ষা দেওয়া, সর্বোপরি মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’