সোনাগাজীতে মারা যাওয়া প্রকৌশলী করোনায় সংক্রমিত ছিলেন

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

ফেনীর সোনাগাজীতে ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগে প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন (৫৭) মারা যাওয়ার ১২ দিন পর জানা গেল তিনি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ছিলেন। ১২ জুন রাতে ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসায় হৃদ্‌রোগে সংক্রমিত হয়ে তিনি মারা যান।

বেলায়েত হোসেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশনের (বিসিবি) প্রধান কার্যালয়ের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৩ জুন সকালে স্বজনেরা ঢাকা থেকে তাঁর লাশ সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করেন।

মৃতের ভাগনে মো. সোহেল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মামা প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ১২ জুন রাতে বাসায় হঠাৎ করে তিনি হৃদ্‌রোগে মারা যান। পরদিন সকালে তাঁরা লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তাঁর শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় স্বাভাবিকভাবে তাঁরা পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করেছেন। এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লোকজন এসে মরদেহ থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিলেন।

উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন ঢাকায় মারা যাওয়ার পর স্বজনেরা লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন সম্পন্ন করার পর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তাঁকে কেউ কিছুই জানাননি। গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুনেছেন, ওই প্রকৌশলী করোনায় সংক্রমিত ছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উৎপল দাস প্রথম আলোকে বলেন, মৃত্যুর পর ওই প্রকৌশলী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কি না, তা জানতে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া প্রতিবেদন করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। তাঁকে নিয়ে উপজেলায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সোনাগাজী মডেল থানার ৩ জন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) নতুন করে ১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৭। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনসহ এ পর্যন্ত ৪২ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তবে সংক্রমিত সবাই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।