নমুনা দিয়ে ১৯ দিনেও প্রতিবেদন পাননি ইউএনও

গাড়িচালক ও বাসার তত্ত্বাবধায়ক করোনাভাইরাসে (কোভিড) সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় নিজের নমুনা জমা দেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান। কিন্তু ১৯ দিন পার হলেও আজ পর্যন্ত তিনি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাননি।

ইউএনও ফারহানা ৮ জুন নমুনা জমা দেন। একই দিনে তাঁর দুই শিশুসন্তান, মা-বাবা, ইউএনও কার্যালয়ের ৫ কর্মচারী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স এবং তাঁর পরিবারের তিনজন সদস্যসহ মোট ৫৫ জনের নমুনা জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউই আজ পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারেননি। এই অবস্থায় ইউএনও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করে ২২ জুন থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন।

ইউএনও বলেন, নমুনা জটের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। আবার দাপ্তরিক কাজের চাপ রয়েছে। এই অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করে এখন পুরোদমে অফিস করছেন। তাঁর দুই শিশুসন্তান ও পরিবারের অপর এক সদস্য পাঁচ দিন অসুস্থ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তারাও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করে এখন সুস্থ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) রাজিব দে বলেন, ‘আমরা নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম বিআইটিআইডিতে পাঠাই। ৭ জুন পাঠানো ২৬ জনের নমুনার পরীক্ষার ফলাফল ২০ জুন পাওয়া গেছে। কিন্তু ৮ জুন পাঠানো ৫৫ জনের নমুনার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না বিআইটিআইডি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, পটিয়ায় গত ২ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮৫৬টি। ৭৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬৪ জনের। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২১৫ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ১২ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিআইটিআইডির সহকারী অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, পটিয়ার ওই নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। যেগুলোর প্রতিবেদন আসেনি, সেগুলো কবে আসবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন না তিনি। ওই ৫৫ জনের মধ্যে যাঁদের করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে, তাঁদের নতুন করে নমুনা জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।