সবাই ছিলেন ভয়ে, এগিয়ে এলেন চেয়ারম্যান

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় জ্বর, কাশি নিয়ে হোসেন মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি শুক্রবার সকালে মারা যান। উপসর্গগুলো করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মতো হওয়ায় লাশ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন স্বজন, পাড়াপড়শি সবাই। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেন।

মারা যাওয়া হোসেন মিয়া কসবার বায়েক ইউনিয়নের কোনাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় করোনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর নমুনা জমা দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই শুক্রবার সকাল ৯টায় তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। লাশ দাফনে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি বা গ্রামবাসী কেউ রাজি হননি। এ অবস্থায় খবর যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুলের কাছে। পরে তিনি ওই গ্রামে গিয়ে বেলা ৩টার দিকে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তখন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্বজনেরা।

রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হোসেন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে ভেবে গ্রামের লোকজন লাশ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন। আমি খবর পেয়ে ওখানে যাই। গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সহায়তায় লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’