খুলনায় তিন এলাকায় লকডাউন চলছে

করোনা সংক্রমণ এড়াতে খুলনা সিটি করপোরেশনের লকডাউন এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচারণা চালায় খুলনা জেলা প্রশাসন। নিরালা আবাসিক এলাকা, খুলনা, ২৬ জুন। ছবি: সাদ্দাম হোসেন
করোনা সংক্রমণ এড়াতে খুলনা সিটি করপোরেশনের লকডাউন এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচারণা চালায় খুলনা জেলা প্রশাসন। নিরালা আবাসিক এলাকা, খুলনা, ২৬ জুন। ছবি: সাদ্দাম হোসেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনার তিনটি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে ২১ দিনের জন্য লকডাউন চলছে। এলাকা তিনটি হলো মহানগরের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন।

লকডাউন সফল করতে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩টি ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪টি প্রবেশপথকে বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। রাত থেকেই প্রতিটি জায়গায় সিটি করপোরেশনের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছেন। শুক্রবার প্রথম দিনে লকডাউন এলাকায় মানুষকে তুলনামূলক কম ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মানুষকে বাইরে যেতে দিচ্ছেন না প্রবেশমুখে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

লকডাউনের বিষয়ে শুক্রবার সকালে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিরালা মোড় এলাকায় প্রেস ব্রিফিং করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, সম্প্রতি খুলনা মহানগরে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। এ কারণে ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেএমপি। দুই পালায় গেটগুলোতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনসাধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ, খাদ্যদ্রব্যে বা অন্য কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ‘রেড জোন’ এলাকায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়। সে অনুযায়ী লকডাউন এলাকায় বিধিনিষেধ মানতে মাইকিং করা হয়। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, রেড জোনে বসবাসকারী চাকরিজীবীরা বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন। জরুরি প্রয়োজনে (ওষুধ ক্রয়) অনুমতি সাপেক্ষে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল, নিজস্ব গাড়িসহ কোনো যানবাহন চলবে না। তবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা ওই আদেশের বাইরে থাকবে। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন।