সাতকানিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত: পুলিশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় গতকাল শুক্রবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ও হত্যা মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর নাম মো. আবদুল হান্নান ওরফে সোহেল (৩২)। তাঁর বাড়ি উপজেলার বারদোনা আদর্শপাড়া এলাকায়।

পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জিহাদ আলী, কনস্টেবল মো. কামরুল হাসান সরকার, সবুজ মিয়া ও নাজমুল হাসান। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

পুলিশের ভাষ্য, গতকাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে মাদক ও হত্যা মামলার আসামি হান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাঁকে নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ও ব্যবসায়ী মোছাদ্দেকুর রহমান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের জন্য সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের কোতোয়াল দিঘি এলাকায় যান। এ সময় দিঘির পাশে পাঁচ থেকে ছয়জন মাদকসেবনের পাশাপাশি তাস খেলছিলেন। তাঁরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় আসামি হান্নান পুলিশের হেফাজত থেকে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর সহযোগীদের গুলিতে আহত হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে আহত হান্নানকে উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি একটি এলজি, তিনটি গুলি, চারটি গুলির খোসা, ৬৫টি ইয়াবা, আধা লিটার চোলাই মদ, তাসসহ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, হান্নান এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও বখাটে যুবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মোছাদ্দেক নামের এক যুবলীগ কর্মী মাদকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে সচেতন করার কাজ করায় হান্নান ছুরিকাঘাতে তাঁকে হত্যা করেন।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিউল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল হান্নান এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। মাদকবিরোধী কথা বলায় গত সোমবার বিকেলে মোছাদ্দেকসহ দুজনকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি। এতে মোছাদ্দেক মারা যান। এ ঘটনায় গত বুধবার মোছাদ্দেকের বাবা বাদী হয়ে আবদুল হান্নানকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া হান্নানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা আছে।